একটা তথ্য দেইঃ বাংলাদেশে ৩ কোটি অভিভাবক আছেন যাদের শিশুদের বয়স ৩-১০ বছরের মধ্যে। আরেকটু ভালোভাবে বললে বলা যায় যাদের শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেভেলে পড়ছে সেই সংখ্যাটি প্রায় ৩ কোটি। এই লেখাটি আপনি এখন পড়ছেন, আর আপনিও হয়তো তাদের মধ্যে একজন।
তাহলে এগুতে থাকুন।
এখন একটু ভাবুন যে তার মানে আপনি আজকে আপনার শিশুকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য কিছু যদি বানানোর স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে সেই স্বপ্ন সফল হওয়ার সম্ভাবনা আসলে কতটুকু। হয়তো সেই পেশাটিই আর থাকবে না, বা সেই পেশার দায়িত্বগুলো বদলে যাবে অনেক।
আপনার শিশু বড় হয়ে যাই হতে চাবে না কেন, কিছু গুণ তার মধ্যে এই ৩-১০ বছর বয়সের মধ্যেই দিয়ে দিতে হবে। যেমন, সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা। কিন্তু এই গুণগুলো কিভাবে একটি শিশুর মধ্যে আনা যাবে সেটি কি অভিভাবক হিসাবে আমরা জানি?
স্কুলে তো কেবল শেখানো হচ্ছে অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান। তাহলে শুধু স্কুলের উপর আপনার সন্তানের দায়িত্ব দিয়েই কি আপনি নিশ্চিত থাকতে পারবেন? কোচিং সেন্টারে পাঠালেই কি এই দক্ষতাগুলো বাড়বে?
অনেক তথ্য তো দিলাম। এবার শেষ তথ্যটা দেই।
আপনি কি জানেন যে আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ কেমন হবে, সে মানুষ হিসাবে কিভাবে গড়ে উঠবে সেই বিষয়গুলো অনেকাংশে নির্ধারিত হয়ে যায় আপনার শিশু স্কুলে পা রাখার আগেই?
শিক্ষা এবং শিশুদের নিয়ে গত কয়েকবছর ধরে আমরা কাজ করার সুবাদে এবং কয়েক হাজার অভিভাবকের সাথে সামনাসামনি কথা বলার অভিজ্ঞতার ফলে আমরা যে ব্যাপারটি অনুধাবন করেছি তা হল, অভিভাবক হিসাবে আমরা পুরোপুরি সচেতন নই অনেক বিষয় নিয়েই। কেন আমার সন্তান খারাপ আচরণ করছে, কেন আমার সন্তানের পড়ার প্রতি মনোযোগ নেই, বা কেনই বা আমার সন্তান অন্যদের সাথে ঠিকমতো মিশছে না – এরকম আরও অনেক সাধারণ সমস্যাগুলোর আসল উত্তরটুকু আমরা জানি না।
অভিভাবক হিসাবে আমরা আমাদের জীবনে এই সমস্যাগুলোতে পড়েছি এবং পড়ছি। আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা এমন কিছু একটা করবো যেন আমাদের দেশের অভিভাবকদের এই ভুলগুলো না করতে হয়। আর তাই আমরা আমাদের এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছি। এর নাম দিয়েছি আমরা ‘Teachers Time’.
আমরা বিশ্বাস করি, অভিভাবকরাই শিশুদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। আর তার পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকরা তো আছেন। এই প্ল্যাটফর্মে আমরা অভিভাবকদের জন্য এবং পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্যও বেশ কিছু কোর্স দিয়েছি। এই কোর্সগুলোর মূল উদ্দেশ্যই হল আমাদের দেশের এই ৩ কোটি অভিভাবককে তাদের শিশুদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে সহায়তা করা। তাদেরকে সেই তথ্যগুলো, সেই জ্ঞানটুকু দিয়ে সাহায্য করা যেন তারা বুঝতে পারেন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য তাদের কি করা উচিত।
ইতিমধ্যে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি অভিভাবকদের কাছ থেকে। অনেকেই কোর্স শুরু করেছেন। লেখাটি পড়া শেষ করার পর রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারেন। পরে সময়-সুযোগমতো কোন একটি কোর্স শুরু করে দিন। টানা শেষ করতে হবে এমন নয়। এক একটি লেকচার ৫-১০ মিনিট। অনেকটা ইউটিউব ভিডিও দেখার মতো করে অবসর সময়ে দেখে দেখে একটি পুরো কোর্স শেষ করে ফেলতে পারেন।
প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করার আগে আর্টিকেলটি ফেসবুকে শেয়ার করে দিন। এতে করে আপনার মতো আপনার পরিচিতরাও উপকৃত হবে। হয়তো অনেকেই এমন একটি বিষয় খুঁজছেন নিজের জন্য।
এবার নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। কয়েক মিনিট সময় নিয়ে দেখুন কোন কোর্সটি ভালো লাগছে। চাইলে এখনই কোন একটা কোর্সে Enroll করতে পারেন। অথবা পরেও করতে পারেন।