Teachers Time - Feature image

রোজার ছুটি, ঈদ ইত্যাদি মিলিয়ে ৪০ দিনের ছুটিতে গেছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

সব শিক্ষার্থীরা এখন বাসায় থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবকদের এই সময়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয়। লম্বা ছুটি পাওয়ায়, শিক্ষকেরাও এই সময়টাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারেন। লম্বা এই ছুটিতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের করণীয় নিয়ে লিখেছেন লাইট অব হোপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ওয়ালীউল্লাহ ভূঁইয়া।

ছুটির সময়টাকে অপচয় না করে অভিভাবকেরা যা করতে পারেন

এই সময়টায় যেহেতু শিশু আপনার বাসায় থাকবে, তাই আপনি অনেক সময় পাবেন তার সাথে সময় কাটানোর জন্য। এই সময়ে পড়াশুনার চাপও কম আছে। তাই আপনি নিজের জন্য যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন:

১। টগুমগু প্যারেন্টিং অ্যাপ ডাউনলোড করুন। এখানে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিংয়ের সব সমস্যার সমাধান পাবেন। সময় বাঁচবে, খরচ বাঁচবে, এবং সন্তানের বেড়ে উঠার ব্যাপারে সঠিক গাইডেন্স পাবেন। ছুটির এই সময়টিতে সন্তানের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আরো বেশি কোয়ালিটিফুল করে তুলবে টগুমগু প্যারেন্টিং অ্যাপ।

২। প্যারেন্টিং নিয়ে বেশ কিছু ভালো কোর্স করে ফেলতে পারেন। টিচার্স টাইম থেকে অভিভাবকদের জন্য একটা লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন দিচ্ছে যেখানে প্যারেন্টিং নিয়ে অনেকগুলো কোর্স নিজের সময়মতো ৮০% ছাড়ে করতে পারবেন। ছুটির এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে প্যারেন্টিং শিখতে টিচার্স টাইমের ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দের যেকোনো একটি প্যারেন্টিং কোর্স বাছাই করে নিতে পারেন।

৩। কোয়ালিটি টাইম দিন। সন্তানের জন্য ভালো ভালো বই কিনে দিন। তার সাথে ক্রাফটিং করুন, গল্প লেখার খেলা খেলুন। তার পছন্দের কাজগুলো একসাথে করুন।  

শিশুদের সাথে অভিভাবকরা যা যা করবেন

লম্বা ছুটি শিশুদের একাডেমিক পড়াশোনা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, অভিভাবকদের একটু সচেতন পদক্ষেপ ছুটির এই সময়টাকে শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় করে তুলতে পারে। সন্তানের জন্য অভিভাবক হিসেবে আপনি যা যা করতে পারেন:

১। এই সময়ে তার পছন্দের কোন একটা কোর্সে ভর্তি করিয়ে ফেলুন। কিডস টাইম থেকে বেশ কিছু কোর্স অফার করা হয়ে থাকে শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়াতে। সেগুলো করান। ছুটির এই সময়টাতে কিডসটাইমের ক্রিয়েটিভ কোর্সগুলোতে বিশেষ ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। কিডস টাইমের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সন্তানকে ভর্তি করিয়ে দিন তার পছন্দের ও আগ্রহের কোনো কোর্সে।

২। নতুন একটা ভাষা শেখাতে শুরু করুন, যেমন ইংরেজি ভাষা। শিশুর বয়স যখন ৪-৫ বছর, তখন থেকেই ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। আমেরিকান উচ্চারণে ইংরেজি শেখাতে জয় স্কুল ইংলিশের কোর্স করাতে পারেন। জয় স্কুল ইংলিশ, একটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান যারা পৃথিবীর ২৭ টি দেশের ৩-৮ বছরের শিশুদেরকে আমেরিকান একসেন্টে স্পোকেন ইংলিশ শেখাচ্ছে। বাংলাদেশে কিডসটাইম একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার সাথে পার্টনারশিপে জয় স্কুল ইংলিশ বাংলাদেশি শিশুদেরকে ইংরেজি শেখাচ্ছে। আরো বিস্তারিত জানতে ঘুরে দেখতে পারেন কিডসটাইমের জয় স্কুল ইংলিশ ওয়েবসাইট।

৩। স্কুলের বিষয়গুলোর মধ্যে গণিতে শিশুরা সাধারণত দুর্বল থাকে। ম্যাথ অনেক শিশুই না বুঝে শিখে, ফলে তাদের ম্যাথের ভিত্তি দুর্বল থাকে। এবং এই সাবজেক্টটাকে সে ভয় পায়। তাই এই সময়ে শিশুকে সিঙ্গাপুর ম্যাথের বই এবং প্রাকটিস বুক কিনে দিতে পারেন। বাসায় বসেই সে বিশ্বসেরা ম্যাথ প্রোগ্রাম থেকে শিখে ফেলতে পারবে।

৪। লম্বা ছুটির সময়টায় সবচেয়ে ভালো কাজ হবে তার মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করে দিতে পারলে। তার জন্য ভালোমানের বাংলা বই কিনে দিন, যেখান থেকে সে নতুন কিছু শিখবে, পাশাপাশি তার নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি হবে। গুফির গল্পের বইয়ের সিরিজগুলো কিনে দেয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় এটি। গুফির ওয়েবসাইট ভিজিট করে সন্তানের হাতে তুলে দিন দারুণ সব শিশুতোষ গল্পের বই। বইমেলা শেষ হয়ে গেলেও, এখনও চলছে গুফির অনলাইন বইমেলা। যা চলবে আগামী পুরো একমাস ধরে। মেলা চলাকালীন এই সময়টাতে বিশেষ ডিসকাউন্টে গুফি থেকে কিনতে পারবেন তাদের সব বইগুলো।

Teachers Time - Online Boimela Goofi

অভিভাবক হিসেবে শিশুর সাথে যা করা যাবে না

ছুটির এই সময়ে কোন স্কুল না থাকার কারণে শিশুরা আরও বেশি মোবাইল, টিভিতে সময় কাটায়। এতে করে তার এগুলোর প্রতি আসক্তি আরও বেড়ে যায়। ছুটির সময় পড়াশুনার চাপ না থাকায় সেটা আরও ভয়ংকররূপ ধারণ করে।

তাই সে যেন মোবাইল, গেম, কার্টুন এগুলোতে আরও বেশি আসক্ত না উঠে, তাই তাকে এগুলো থেকে দূরে রাখার জন্য উপরে বলা বিভিন্ন জিনিসের সাথে তাকে যুক্ত রাখুন। তাতে করে সে একটা নিয়মের মধ্যে থাকবে, পাশাপাশি নতুন কিছু আগ্রহ নিয়ে শিখবে।

স্কুল খোলা থাকার সময় যেমন তার একটা রুটিন থাকে, ছুটির সময়ও তাকে একটা রুটিনের মধ্যে রাখুন। রুটিনহীন হয়ে গেলে স্কুল খোলার পর আবার তার সাথে আডজাস্ট করতে আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে।

বাংলাদেশে অভিভাবক ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছে এমন ৪ টি প্ল্যাটফর্মের লিংক নিচে এক জায়গাতেই দেয়া থাকলো। সচেতন অভিভাবকেরা তাদের নিজেদের ও শিশুদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে ছুটিতে তাদেরকে কয়েকগুণ এগিয়ে নিতে পারবেন।

১) টগুমগু প্যারেন্টিং অ্যাপ : প্যারেন্টিং এর সকল সমস্যার সমাধান একসাথে পেতে ডাউনলোড করুন টগুমগু প্যারেন্টিং অ্যাপ

২) টিচার্স টাইম: অভিভাবক, শিক্ষক ও চাকুরীপ্রার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য ভিজিট করুন টিচার্স টাইমের ওয়েব সাইট।

৩) গুফি- Goofi: শিশুদের জন্য বিষ্মুক্ত, পরিবেশ-বান্ধব দারুণ সব লার্নিং টয়, একাডেমিক ও স্টোরি বুক নিতে ভিজিট করুন গুফির ওয়েবসাইট।

৪) কিডস টাইম- বাংলাদেশের শিশুদের সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে যারা কাজ করছে, তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে কিডস টাইম। কিডস টাইমের বিভিন্ন সার্ভিস সম্পর্কে জনতে ভিজিট করুন তাদের ওয়েবসাইট