Uncategorized
The best age to start learning English like a native speaker is 5-7 years. If you want your child to speak English like native speaker, you must ensure that happens before 10 years old.
বাংলাদেশে ২০২২ সাল থেকে সরকার নতুন শিক্ষা কারিকুলাম চালু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। প্রতিটি অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জীবনেও এর প্রভাবে আসতে যাচ্ছে পরিবর্তন। নতুন কারিকুলামের উপর আমাদের তৈরি ধারাবাহিক সিরিজের দ্বিতীয় লেখা এটি। এর আগের লেখায় আমরা বলেছি যে কোন ১০ টি স্কিলের উপর জোর দেয়া হচ্ছে নতুন […]
৮ জন শিক্ষককে আমরা বলেছিলাম, আচ্ছা ধরুন আপনাদের ১০ মিনিট সময় দেয়া হল। এই ১০ মিনিট আপনি টিভির সামনে বাংলাদেশের ৩ কোটি শিশুকে যদি কিছু কথা বলার সুযোগ পান তাহলে কি বলবেন শিক্ষক হিসাবে। ৩ কোটি শিশুর সবাই টিভির সামনে বসা আছে, তারা সবাই তাকিয়ে আছে স্ক্রিনের দিকে আপনার কথা শোনার জন্য।
(শিশুদের বয়স কত – কম না বেশি, সব কথা বুঝবে কিনা – এরকম প্রশ্ন করলেন একজন। আমরা বললাম, ধরে নিন শিশুর বয়স যদি ৩-৪ বছরও হয় সে আপনার কথা বুঝবে, সমস্যা নেই। কল্পনা যেহেতু করছি, কল্পনাতে এটা ভেবে নেয়াই যায়।)
আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এটা বোঝা যে, শিক্ষকরা আসলে তাদের শিক্ষার্থীদের কি বলতে চান। স্কুলের পড়ার চাপ, সিলেবাস শেষ করার চাপে আর অন্য কাজের চাপে হয়তো আজকাল শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের বলতে চাইলেও, সময় দিতে চাইলেও পারেন না।
কিন্তু এমন যদি সুযোগ পান যে ৩ কোটি শিশু আপনার দিকে তাকিয়ে আছে কথা শোনার জন্য, এখন আপনি কি বলবেন।
শিক্ষকরা যে বিষয়গুলো বাংলাদেশের শিশুদের বলতে চান, সেগুলোই আমরা নিচে একের পর এক সাজিয়ে লিখলামঃ
১। তোমাদের যে খালি স্কুলের পড়ার বই থেকেই শিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। শিখতে পারো সব জায়গা থেকেই, আমাদের চারপাশে আছে শেখার অনেক কিছু।
২। যা শিখতে মন চায়, যা পড়তে মন চায় – সেটাই পড়। শেখার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটা নিয়ো। আর যা শিখছ সেটা ভালো কাজে লাগাতে চেষ্টা করো।
৩। Be curious. প্রচুর প্রশ্ন করবে। যা জানতে মন চাবে, যা বুঝতে পারছ না – সেটি নিয়েই প্রশ্ন করবে। যাকে সামনে পাবে তাকেই জিজ্ঞেস করো – তোমার মা-বাবা, তোমার শিক্ষক, তোমার বন্ধু বা অন্য কেউ। আর এখন তো চাইলে ইন্টারনেটেও কত কিছু শিখে ফেলা যায়, জেনে ফেলা যায়।
৪। তুমি সবার চেয়ে আলাদা। তোমার মতো পৃথিবীতে আর একজনও নেই। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবে। এমন কিছুই নেই যে তুমি চাইলে করতে পারবে না। কিন্তু নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে, তুমি কি করতে চাও, কি হতে চাও, কি করতে তোমার ভালো লাগে, আনন্দ লাগে – আর তারপর সেটাই করো।
৫। যদি কোন কিছুতে ব্যর্থ হও, বা খারাপ করো – যেমন কোন একটা পরীক্ষায় খারাপ হল, এতে করে কখনও নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবে না। কেউ যদি তোমাকে বলে, ‘তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না’, তাহলে আর কথা ভুলেও বিশ্বাস করো না। এমনকি তোমার শিক্ষক বা মা-বাবা বললেও না।
৬। সবাইকে সম্মান করবে সবসময় – তোমার বাবা-মা, শিক্ষক, গুরুজন। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবে, এমনকি তারা তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও। আর সবার কাছে শেখার আছে, তোমার চেয়ে ছোট যে সেও তোমাকে শেখাতে পারে।
৭। জীবনটা একটা adventure এর মতো, জীবনে সুখী হওয়া বা আনন্দে থাকা সবচেয়ে বড় বিষয়।
৮। মিথ্যা বলা, অন্যকে কষ্ট দেয়া, শুধু নিজের ভালো চিন্তা করা – এগুলো এক সময় তোমার আনন্দকে নষ্ট করবে।
৯। নিজেকে কখনও অন্যর সাথে তুলনা করবে না। নিজের যা আছে সেটা নিয়ে খুশি থাকাটাও আনন্দের। জেনে রেখো, তোমার চেয়ে অনেক খারাপ অবস্থায় অনেকে আছে।
১০। পুরো পৃথিবীকে বদলে দেয়ার ক্ষমতা তোমার মধ্যে আছে। তোমাকে শুধু চেষ্টা করতে হবে।
এই ১০ টি মেসেজ শিক্ষকরা ১০ মিনিটে বাংলাদেশের ৩ কোটি শিশুকে দিতে চেয়েছেন। শিক্ষক হিসাবে আপনি যখন সুযোগ পাবেন, এই মেসেজগুলো আপনার শিক্ষার্থীদের দিয়েন। তারা সারা জীবন আপনার কথা মনে রাখবে। আপনার এই কথাগুলো যদি একটা শিশুর জীবনও বদলে দিতে পারে, তাহলে জানবেন শিক্ষক হিসাবে আপনি সফল।
একই রকম আরও দুটো প্রশ্ন আমরা শিক্ষকদের করেছিলাম।
১০ মিনিট সময় পেলে বাংলাদেশের সব অভিভাবকদের আপনি কি বলবেন?
উত্তর দেখুন এই লিঙ্কে
১০ মিনিট সময় পেলে বাংলাদেশের সব শিক্ষককে আপনি কি বলবেন?
উত্তর দেখুন এই লিঙ্কে
পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার শিক্ষাব্যবস্থা দেশগুলোতে আছে তার মধ্যে প্রধানতম হল ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা। কিন্তু কেন ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা এত ভাল এবং সেরা। চলুন জেনে নেই ফিনল্যান্ডের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার কিছু চমৎকার দিক।
বিনা খরচে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ-
ফিনল্যান্ডে শিক্ষাব্যবস্থায় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। মধ্যাহ্নভোজ, টিফিন, বই-খাতা-স্টেশনারি, শিক্ষাসফর এমনকি স্কুলে যাতায়াত স—-ব বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকেন। শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত খরচ সরকার বা রাষ্ট্র বহন করে থাকে এবং বার্ষিক বাজেটের ১২.২% এর বেশি শিক্ষাখাতের জন্য বরাদ্দ থাকে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য স্বতন্ত্র পরিকল্পনা ও পদ্ধতি-
কি অবাক হচ্ছেন? হুম, এটাই সত্যি। ভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্যের শিক্ষার্থীরা একই ক্লাসে পড়ালেখা করে। কোন শিক্ষার্থী যদি নির্দিষ্ট কাজ করতে না পারে তবে শিক্ষক তার জন্য স্বতন্ত্র পরিকল্পনা করে থাকেন এবং তার জন্য আলাদা টাস্ক ডিজাইন করা হয়। শিশুরা তাদের পছন্দমতো ও সামর্থ্যর উপর ভিত্তি করে ক্লাস টাস্ক নির্বাচন করার সুযোগ পায়। যদি লেসন ইন্টারেস্টিং মনে না হয় তাহলে শিক্ষার্থী পছন্দমতো বই পড়তে বা দোলনায় দুলতে পারে নির্দ্বিধায়।
প্রথাগত নম্বর পদ্ধতি বর্জন-
ফিনল্যান্ডের গ্রেডিং সিস্টেম ১০ পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় এবং থার্ড গ্রেডের আগে স্কুলে কোন নম্বর বা মার্কস দেওয়া হয়না। থার্ড গ্রেড থেকে সেভেনথ গ্রেড পর্যন্ত শুধুমাত্র মৌখিক প্রশংসাসূচক বাক্য বা ফিডব্যাক মার্কস হিসেবে দেওয়া হয় যেমন- আরও ভাল হতে পারে বা পারফেক্ট, এবং এই মার্কস শুধু মাত্র শিক্ষার্থী নিজে জানে। শিক্ষার্থীদের নম্বরের চেয়ে মোটিভেশন এবং তাদের নিজস্ব স্টাডি প্ল্যানে সংশোধনের প্রয়োজন নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য।
কোন নির্দিষ্ট স্কুল ইউনিফর্ম নেই-
ফিনল্যান্ডে কোন নির্দিষ্ট স্কুল ইউনিফর্ম নেই। বাচ্চারা তাদের পছন্দমতো ও আরামদায়ক পোশাক পড়ে আসতে পারে স্কুলে।
পড়ানোর সময় শোয়া ও সোফাতে বসার অনুমতি-
আমাদের স্কুলগুলোতে চেয়ার ও বেঞ্চে বসা বাধ্যতামূলক কিন্তু ফিনল্যান্ডে স্কুলগুলোতে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। ক্লাসের মাঝে তারা চাইলে সোফায় বসতে কিংবা মেঝের কার্পেটে শুয়ে শুয়ে ক্লাস করতে পারে। আহা কি শান্তি!!!!
মজার বাড়ির কাজ-
ফিনল্যান্ডে শিক্ষকেরা মনে করেন যে শিশুদের বাসায় বিশ্রাম নেওয়া ও পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটানো উচিত তাই তাদের হোমওয়ার্ক বা বাড়ির কাজ খুব একটা দেওয়া হয়না আর দিলেও তা খুব মজার হয় এবং খুব স্বল্প সময়ে করা যায় যেমন- ইতিহাস ক্লাসের বাড়ির কাজ হল শিক্ষার্থীরা তাদের দাদী বা নানির সাথে গল্প করে তার সময় এবং বর্তমান সময়ের জীবনযাপনরীতির পার্থক্য খুঁজে বের করবে।
কোন পরীক্ষা নেই-
কি মজা!!! ফিনল্যান্ডে শিক্ষকেরা বলে থাকেন যে মানুষের হয় তার জীবনের জন্য অথবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, আমরা প্রথমটি বেছে নিয়েছি তাই আমাদের ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলোতে কোন পরীক্ষা নেই, শুধু একটি আবশ্যকীয় পরীক্ষা আছে যখন শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর সম্পন্ন করেন। শিক্ষক তার ক্লাসে ছোট খাটো টেস্ট নিতে পারেবিশেষ প্রয়োজনে।
নির্দিষ্ট সাবজেক্ট বা বিষয় নেই–
ফিনল্যান্ডের কিছু কিছু স্কুলগুলোতে কোন নির্দিষ্ট সাবজেক্ট বা বিষয় পড়ানো হয় না বরং একটি টপিক বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার দক্ষতা তৈরি করা হয় শিক্ষার্থীদের মাঝে। ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি সাম্প্রতিক সংযুক্তি হল- ‘ফেনোমেনন বেজড লার্নিং’ যেখানে অনেকগুলো অধ্যায়ের পরিবর্তে একটি টপিক ৬ সপ্তাহ ধরে ছাত্র-ছাত্রীরা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে পড়বে। যেমন- অভিবাসী বা মাইগ্রেন্ট, এই টপিকটা শিক্ষার্থীরা ভূগোল (কোথায় থেকে তারা এসেছে), ইতিহাস (এর আগে কী ঘটেছিল), সংস্কৃতি ( তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য, জীবনযাপন) ইত্যাদি ভিন্ন আঙ্গিক থেকে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই তাদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করে এবং সেই প্রশ্নের উত্তর ও নিজেরাই খুঁজে বের করে।
সবচেয়ে বেশি বিরতি পায় শিক্ষার্থীরা-
সারা বিশ্বে সমস্ত স্কুলগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা স্কুলে সবচেয়ে বেশি বিরতি পেয়ে থাকে। ক্লাস যতই মজার হোক না কেন, প্রতি ৪৫ মিনিট পড়ালেখা বা ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট করে বিরতি পায়।
দক্ষ ও নিবেদিত শিক্ষক-
ফিনল্যান্ডে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া খুবই প্রতিযোগিতামূলক এবং কঠিন যার মাধ্যমে সেরা আবেদনকারীদের বেছে নেওয়া হয়। প্রায় ১০ জনে একজন শিক্ষক হতে পারে আবেদনকারীদের মধ্যে, এবং বেতন শুরু হয় ৩৫০০ পাউন্ড থেকে। ফিনল্যান্ডে শিক্ষকতা পেশাটি খুবই সম্মানজনক এবং সবথেকে আকর্ষনীয়। দক্ষ ও আগ্রহী শিক্ষকেরা তাদের সর্বোচ্চ মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটাতে পারেন তাদের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর ক্ষেত্রে, আর শিক্ষক যখন সেরা তখন তার প্রতিফলন তো ঘটবেই শিক্ষাব্যবস্থায়।
জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোই ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানো হয়-
সাঁতার ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শেখে কোন কোন সংকেত বোঝায় যে একজন মানুষ ডুবে যাচ্ছে, গার্হস্থ্য বা গৃহস্থালি ক্লাসে শেখে রান্না, সেলাই, বোনা ইত্যাদি। পরিবেশ এর যত্ন বা পরিবেশ সচেতনতার উপর খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফিনল্যান্ডে স্কুল শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট বা পোর্টফলিও তৈরি করতে পারে। মূল বিষয় হল কোন কিছু শেখার সামর্থ্য এবং সময়ের সাথে পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যে দক্ষতাগুলো শেখা দরকার তাই ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলোতে শেখানো হয় কারন যখন ইন্টারনেট আছে তখন কোন বিষয় বা সাবজেক্ট নলেজ এত গভীরে স্কুলে শেখানোর প্রয়োজন নেই।
প্রত্যেকটা স্কুলই মানসম্পন্ন-
ফিনল্যান্ডে প্রতিটা স্কুলেই দক্ষ শিক্ষক, প্রয়োজনীয় উপকরন ও মানসম্মত খাবার রয়েছে তাই কোন নির্দিষ্ট বা ‘এলিট’ স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, শিক্ষার্থীরা তাদের নিকটস্থ এলাকার স্কুলে ভর্তি হয় এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা সমানভাবে লাভ করে।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দসই দুপুরের খাবার গ্রহণ করে–
ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলোতে খাবার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। স্কুলগুলো তাদের ওয়েবসাইটে একমাস আগে দিয়ে দেয় যাতে শিক্ষার্থীরা আগেই ওয়েবসাইট ভিজিট করে তাদের প্রিয় মেন্যুগুলো যুক্ত করতে পারে এবং লাঞ্চের সময় স্কুল সেই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখতে পারে।
সারা রাত পার্টি–
মাঝে মাঝে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায় এবং শিক্ষকদের সাথে সারারাত স্কুলে থেকে মুভি দেখে, খেলা ধুলা করে এবং ঘুমায়। অতঃপর সকালে ব্রেকফাস্ট করে ও আইসক্রিম খায়।
রিডিং ডগস–
ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলোতে বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কুকুর থাকে যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়তে আরো উৎসাহী হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীরা এই কুকুরগুলোকে বই পড়ে শোনায় এমনকি কুকুরগুলোও ছাত্র-ছাত্রীদের গল্প শোনায়।
এই সুযোগগুলো যদি আপনি পেতেন তবে আপনার সন্তানকে এমন স্কুলে পড়াতে চাইতেন কিংবা আপনি নিজেও আফসোস করতেন কি এমন স্কুলে না পড়ার কারনে?
অভিভাবক হিসেবে আপনার সন্তানের সুস্থ মানসিক বিকাশ এবং তাদের ভবিষ্যত নিয়ে আপনার উদ্বেগের শেষ নেই। আপনিই আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন আপনার সন্তানকে বুঝতে পারা এবং তাদের শৈশবের সঠিক বিকাশে আপনার করনীয়গুলো সমন্ধে জানা। আপনার প্যারেন্টিং যত পজেটিভ হবে, আপনার সন্তানের ততটাই শারিরীক, মানসিক, সামাজিক, আবেগীয়, জ্ঞানের এবং অন্যান্যক্ষেত্রে সঠিক বিকাশ ঘটবে।
অপরদিকে বাবা-মা এর সাথে শিক্ষকেরা শুধু একাডেমিক নয় বরং একটি শিশুর সবরকম বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারন দিনের অনেকটা সময় শিশুরা স্কুলে তাদের শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে থাকে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য তার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের যেমন জানতে ও বুঝতে হবে, তেমন এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বিকাশের জন্য করনীয়গুলো ক্লাসে প্রাক্টিস করতে হবে এবং ক্লাসে তাদের শেখার সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করতে হবে।
অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে টিচার্স টাইম নিয়ে এসেছে অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে যেকোন শিক্ষক বা অভিভাবক তাদের চাহিদা অনুযায়ী, নিজেদের সময়মতো বিভিন্ন কোর্স করে তাদের প্রফেশনাল ও পার্সোনাল স্কিলগুলোর বিকাশ ঘটাতে পারবেন।
কিভাবে ফ্রি এই কোর্সগুলো করবেন?
এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন খুব সহজেই আমাদের অনলাইন কোর্সগুলো কিভাবে ফ্রি করবেন।
ধাপ ১-
আপনাকে ভিজিট করতে হবে টিচার্স টাইম-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- https://teacherstimebd.com/home
ধাপ ২- এরপর উপরের বামদিকে ‘Courses’ ক্লিক করুন। এখানে আপনি বিদ্যমান কোর্সগুলো দেখতে পারবেন। কোর্সগুলো শিক্ষক ও অভিভাভকদের জন্য আলাদা করে ভাগ করা আছে। তবে যে কেউ চাইলে যেকোন কোর্স করতে পারবে্ন। কোর্সগুলো সংক্ষিপ্ত বিবরণও রয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা একটি প্রাথমিক ধারনা পাবেন এবং কোর্স নির্বাচন সহজ হবে।
ধাপ ৩ – এবার আপনি কোর্সে এনরোল করার জন্য লগইন করবেন আপনার মোবাইল নাম্বার ও প্রদত্ত পাসওয়ার্ডের সাথে। যদি আপনি প্রথমবার কোর্সগুলো করতে চান বা ওয়েবসাইটে নিজের নাম রেজিস্টার করেননি তাহলে লগইনের পূর্বে Register Now-এ ক্লিক করতে হবে।
আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্টার/Sign Up করতে হবে।
ধাপ ৪- রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর কোর্সগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা নিয়ে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কোর্স এনরোল করুন।
ধাপ ৫- আপনার সময়মতো লেকচারগুলো দেখুন এবং কোর্সটি সম্পন্ন করুন।
সফল ক্লাস রুমের ৬ টি কৌশল
একজন শিক্ষক তখনই দক্ষ শিক্ষক হয়ে উঠতে পারেন যখন সে বিভিন্ন কৌশল দক্ষতার সাথে ক্লাসরুমে প্রয়োগ করেন। এখানে ৬ টি গুরুত্বপূর্ন এবং কার্যকর কৌশলের উল্লেখ করা হল যার মাধ্যমে একজন দক্ষ শিক্ষক সহজেই তার ক্লাসরুম সফল করতে পারেন।
১। স ঠিক ও সহজ ব্যখ্যা, এবং শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত আগ্রহের সাথে সমন্বয় সাধন করতে পারলে যেকোন বিষয় সহজেই শিক্ষার্থীরা শিখতে উৎসাহ দেখাবে এবং তা ভালভাবে শিখবে।
২। একজন অভিজ্ঞ এবং দক্ষ শিক্ষক কখনো শিক্ষার্থীকে ভয় ভীত করে, শাস্তি দিয়ে ক্লাসে পড়ান না বরং শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে জানেন, তাদের বোঝেন এবং সন্মান করেন । শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের বুঝতে পারে তবে তারা কতটুকু শিখছে তা বুঝতে পারবেন একইসাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের প্রতি সন্মান ও ক্লাসে মনোযোগ বাড়বে।
৩। বিভিন্ন ধরণের অ্যাসেসমেন্ট টেকনিক ব্যাবহার করে, নানারকম উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা প্রদর্শণের সুযোগ পায়। মুখস্তবিদ্যাকে অবশ্যই নিরুৎসাহিত করতে হবে। যথাযথ মূল্যায়নের পাশাপাশি অবশ্যই সঠিকভাবে ফিডব্যাক দিতে হবে তাহলে শিক্ষার্থী তার নিজের যে জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে হবে তা বুঝতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।
৪। একজন দক্ষ শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে উচ্চমানের প্রত্যাশা ধারণ করে থাকেন এবং ক্লাসরুম টার্গেটগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করে থাকেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্য এবং তা পূরণে করণীয় সমন্ধে সচেতন হতে পারে।
৫। একজন দক্ষ শিক্ষক তার ক্লাসরুমের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীর কথা মাথায় রেখে ক্লাসের লার্নিং টাস্কগুলো ডিজাইন করে থাকেন। এতে করে সব শিক্ষার্থী সমানভাবে আগ্রহের সাথে ক্লাসে লেখাপড়া উপভোগ করে।
৬। দক্ষ শিক্ষকের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য হল তিনি সবসময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শেখেন, ধারণা লাভ করেন তার ক্লাস সম্পর্কে। এর ফলে শিক্ষক বুঝতে পারেন তার পড়ানোর কোন কোন কৌশল কার্যকর, কোন গুলো পরিবর্তন প্রয়োজন এবং সে অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।
আমাদের আগামী কোর্স Making Creative Classroom Contents সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণ করতে কল করুন ০১৯৬৮৭৭৪০০৫
এখানে ক্লিক করে কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ক্লাসে শিশুরা কিভাবে শেখে? শুধু কি লেকচার শুনে বা বই পড়ে?
আসলে আমরা নানাভাবে শিখি এবং সবসময়ই শিখি। শিখন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা সবসময় সক্রিয়। লেখা-পড়ার ক্ষেত্রেও তাই। শুধু শিক্ষকের কথা শুনে, বই পড়ে বা বিভিন্ন ক্লাস টাস্কের মধ্যে দিয়ে নয় বরং ক্লাসে একে অপরের সাথে কথা বলে, অভিজ্ঞতা থেকে এমনকি ক্লাসে টাঙানো ছবি বা পোস্টার থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা শেখে।
গবেষণায় দেখা যায়, শেখার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ৬৫% মানুষ দ্রুত ও কার্যকরভাবে, এবং আগ্রহের সাথে শেখে যখন ভিজুয়াল এইড ব্যবহার করা হয়। আর ভিজুয়াল এইডের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হল পোস্টার।
ক্লাসে আমাদের ব্যবহৃত সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য উপকরণ হল বিভিন্ন পোস্টার যা ক্লাসরুম শুধু ডেকোরেশনই করে না বরং শিক্ষককে ক্লাসের বিভিন্ন বিষয় পড়ানোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শেখার পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করে।
আসুন জেনে নেই ক্লাসরুমে পোস্টার ব্যাবহারের কিছু সুবিধাঃ
১। ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণের এবং আগ্রহ ধরে রাখার একটা সহজ উপায় হল পোস্টার ব্যবহার। এমনকি কোন বিষয় শেখার জন্য মোটিভেট ও করে।
২। নির্দিষ্ট কোন আইডিয়া, ফ্যাক্ট, ঘটনা বা প্রক্রিয়া বোঝার জন্য যে ধরণের ফোকাস থাকা দরকার তা সৃষ্টিতে পোস্টার-এর কোন বিকল্প নাই।
৩। ছবি ও শব্দের সমন্বয়, শুধু শব্দের চেয়ে শেখার প্রক্রিয়াকে কার্যকর এবং দ্রুত করে যা পোস্টারে পাওয়া যায়।
৪। ক্লাসরুম পোস্টারের সবচেয়ে বড় উপোযোগিতা হল, এটা থেকে শিক্ষার্থীরা সবসময় শিখতে পারবে, শুধু ক্লাসের চারদেয়ালে একবার চোখবুলিয়ে।
বিভিন্ন রঙের চার্ট পেপার ও মার্কার দিয়ে, এবং এর সাথে ছবি জুড়ে খুব সহজেই আপনি তৈরি করতে পারবেন আপনার ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় পোস্টার।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ক্লাসরুম পোস্টার বানানোর জন্যঃ
১। পোস্টারগুলো রঙ্গিন, আকর্ষণীয় ও সুন্দর ডিজাইনের হতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা তা দেখতে আগ্রহ বোধ করে।
২। পোস্টারের লেখাগুলো অবশ্যই পরিষ্কার ও বোধগম্য হতে হবে যা দূর থেকেই, ক্লাসের বিভিন্ন অবস্থানে বসা শিক্ষার্থীরা দেখতে পারে।
৩। অবশ্যই কোন না কোন বিষয় ও উদ্দেশ্য মাথায় রেখে পোস্টারগুলো বানাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে পোস্টার যেন অর্থহীন না হয়, কোন প্রয়োজনীয় তথ্য বা বার্তা থাকা আবশ্যক।
৪। পোস্টারগুলো যেন শিক্ষার্থীর গ্রেড লেভেল ও বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৫। পোস্টার বানানোর জন্য যে বিষয়টা খেয়াল রাখা জরুরী সেটা হল পোস্টারে যেন শব্দের চেয়ে ছবি বেশি থাকে।
৬। পোস্টারগুলা সিম্পল হওয়া টা ভাল কারন বেশি হিজিবিজি বা অপ্রয়োজনীয় ডিজাইন-শব্দ-ছবি ইত্যাদি থাকলে মূল বার্তা অথবা তথ্য হারিয়ে যায়।
৭। পোস্টারগুলো এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন তা লজিক্যালি সিকয়েন্সড থাকে, যাতে যে তথ্য দেওয়ার তা সহজেই বোধগম্য হয়।
এই সাধারণ পোস্টারকে আমরা একটু অন্যরকমভাবে ব্যবহার করতে পারি, বৈচিত্র এনে ।
আসুন দেখে নেই কিছু আইডিয়া, যেভাবে আমরা পোস্টার ভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারি।
১। আচরণ সংক্রান্ত পোস্টারঃ ক্লাসে যে বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষকেরা চিন্তিত থাকি তা হল ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণ।কিছু পোস্টার রাখা যেতে পারে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয়, প্রত্যাশিত ব্যবহার ও আচরণ ইত্যাদি থাকবে।
২। লাইফ স্কিল পোস্টারঃ লাইফ স্কিল সম্পর্কিত কিছু পোস্টার রাখা যেতে পারে যেগুলো ক্লাস ম্যানেজমেন্ট-এ সাহায্য করবে।
৩। ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট-এর পোস্টারঃ আপনার ক্লাসরুম দক্ষতার সাথে ম্যানেজ করতে যেসব আচরণ এবং করণীয় তা আপনি বিভিন্ন পোস্টারে ক্লাসরুমে রাখতে পারেন যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের নজর থাকে সেগুলোর প্রতি সবসময়। আপনার ক্লাসের নিয়মগুলো অন্তর্ভূক্ত থাকতে পারে এখানে এবং আপনি নির্ধারণ করতে পারে কিছু থিম যেমন- সুপার হিরো।
৪। সহযোগীতা ও বন্ধুত্বের শিক্ষা সংক্রান্ত পোস্টারঃ ক্লাসে কিছু পোস্টার রাখতে পারেন সেগুলো নির্দেশ করবে ক্লাস টাস্কের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা ও আচরণ কেমন হবে। এই পোস্টারগুলোর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা জানতে পারবে কিভাবে সহযোগীতামূলক ও বন্ধুত্বমূলক সম্পর্কের মাধ্যমে একসাথে কাজ করতে হয়, সামাজিক যোগাযোগ তৈরি হয় এবং তা অনুশীলন করতে পারবে ক্লাসে।
৫। শিক্ষামূলক পোস্টারঃ বিষয়ভিত্তিক কিছু পোস্টার রাখতে পারেন ক্লাসে যা আপনাকে পড়াতে সাহায্য করবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের শিখতে।
৬। অনুপ্রেরণামূলক উক্তিঃ কিছু কথা বা উক্তি আমাদের অনুপ্রাণিত করে, কাজে উৎসাহ দেয়। এরকম কিছু অনুপ্রেরণামূলক কথা বা উক্তি লেখা থাকতে পারে বিভিন্ন পোস্টারে।
এই ধরণের পোস্টারগুলো কিছুদিন ক্লাসে ব্যবহার করলে আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পারবেন যার জন্য হয়তো এতদিন ধরে নানারকম চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তাই দেরি না করে আজই শুরু করে দিন পোস্টারের ব্যবহার বিভিন্নভাবে আপনার ক্লাসে।
আপনি ক্লাসরুমে অনেক পরিশ্রম করে পড়াচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছেন না। আপনি কি জানতে চান কি কি উপায়ে ক্লাসরুমের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে তাদের সেরা এবং প্রত্যাশিত ফলাফল বের করে আনা যায়?
শিক্ষার্থীরা তখনই সবচেয়ে ভাল শেখে যখন তারা ক্লাস করতে মজা পায় এবং আনন্দের সাথে শেখাটা উপভোগ করে। আপনি যখন ক্লাসে লেকচারের পরিবর্তে বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক (Participatory) একটিভিটিস রাখেন তখন ছাত্র-ছাত্রীরা সেগুলোতে অংশগ্রহণ করে, একঘেয়েমি দূর হয় এবং আগ্রহের সাথে শেখে। এরকম কিছু অংশগ্রহণমূলক এক্টিভিটিস হতে পারে- Group Discussion, Brain Storming, Role Play, Dramatization, Problem Solving, Field Work, Educational Game ইত্যাদি।
উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার আগে বেশ লম্বা সময় নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কিভাবে ক্লাসরুমে আনন্দ নিয়ে শেখানো যায়, কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে শিশুরা আরও ভালোভাবে কোন বিষয় বুঝতে পারে।
আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক এই বেসিক একটা প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত। কারণ কেউ এই প্রশিক্ষণগুলো করায় না। আর খুব ভালো ৩-৪ টা স্কুল তাদের শিক্ষকদের বাইরে থেকে প্রশিক্ষক এনে যদিও বা করান সেগুলো সব শিক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত না।
আমাদের ট্রেনিং সম্পর্কে ধারনা পেতে দেখতে পারেন এই ভিডিওটি
শিক্ষকদের এবং শিশুদের কথা মাথায় রেখে আমরা আমাদের এই কোর্সটি চালু করেছি। কিভাবে মজা করে সহজ উপায়ে ক্লাসে পড়ানো যায়, ক্লাসরুমের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে তাদের সেরা এবং প্রত্যাশিত ফলাফল বের করে আনা যায় তা সম্পর্কে জানতে আসতে পারেন আমাদের সার্টিফিকেট কোর্সে।
কী হয় ইফেক্টিভ টিচিং কোর্সটিতে?
এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পারবেন ইফেক্টিভ টিচিং এর বিভিন্ন উপাদান যেমন- ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্টের কিছু কৌশল ও বিভিন্ন ধরণের অংশগ্রহণমূলক (Participatory/Interactive) ক্লাসরুম একটিভিটি, এই একটিভিটিগুলো কিভাবে ডিজাইন করতে হয় এবং ক্লাসের সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তা পরিচালনা করা যায়। শুধু বিভিন্ন একটিভিটি না বরং ক্লাসে থাকা বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সক্ষমতা ও দুর্বলতাগুলো, এবং তাদের আগ্রহ বুঝে সে অনুযায়ী একটিভিটি ডিজাইন করে তা সপ্তাহ জুড়ে নিজেদের ক্লাসরুমে ব্যবহার করে ফিডব্যাক নিয়ে পরের ক্লাসে এসে তা শেয়ার করার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা হাতে কলমে ইফেক্টিভ টিচিং বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারেন আমাদের সার্টিফিকেট কোর্সে।
কারা অংশ নিতে পারবেন?
আপনি যদি একজন শিক্ষক অথবা অভিভাবক হয়ে থাকেন, কিংবা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চান তবে এই কোর্সটি আপনার জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এছাড়া কোর্সটি সবার জন্য উন্মুক্ত তাই যে কেউ এই কোর্সটি করতে পারেন।
আগ্রহীরা তাদের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল কমেন্টে অথবা ইনবক্সে জানিয়ে দিন কিংবা কল করুন ০১৯৬৮৭৭৪০০৫ নম্বরে।
যেসব সুবিধা রয়েছে কোর্সটিতেঃ
১। বিভিন্ন বিষয় হাতে কলমে শেখার সুযোগ।
২। নিজেদের ক্লাসরুমের জন্য বিভিন্ন স্ট্রাটেজি ডিজাইন ও তা প্রয়োগ।
৩। কোর্স করার পরে তিন মাস ফ্রি মনিটরিং-ফিডব্যাক-সাপোর্ট সুবিধা এবং যেকোন প্রয়োজনে ট্রেইনারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও সহায়তা পাওয়ার সুযোগ।
৪। একটি আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট
৫। ভবিষ্যতে আমাদের নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো এবং আমাদের সাথে কাজ করার সুযোগ (যারা ভালো করবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য)
কোর্স ফিঃ ৪০০০ টাকাবিকাশ নাম্বারঃ ০১৯৬৮৭৭৪০০৫ (পার্সোনাল)
ব্যাংকের বিস্তারিতঃ
Account number: 110178123368858, Mercantile Bank Limited, Main Branch.
কোর্সের টাকা বিকাশ বা সরাসরি ব্যাঙ্কে পাঠাতে পারেন। পাঠিয়ে আমাদের এই নাম্বারে কল করে নিশ্চিত করুনঃ ০১৯৬৮৭৭৪০০৫
কোর্স ফি-এর অন্তর্ভূক্তঃ
১। চা ও স্ন্যাকস
২। সেশন মেটেরিয়্যালস
৩। আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট
৪। ৩ মাস মনিটরিং ও সাপোর্ট ফি
ঠিকানাঃ ৬৭/এ, রেজিনা গার্ডেন, ৯/এ, ধানমন্ডি
(ইবনেসিনা হাসপাতালের আগে হান্ডি রেস্টুরেন্টের পিছনে)
বিস্তারিত জানতে ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য কল করুন- ০১৯৬৮৭৭৪০০৫