Teachers Time - 8 10

একটি প্রিস্কুল শ্রেণীকক্ষ পরিচালনা করা স্বভাবতই কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক কৌশলের ব্যবহারে ছোট ছোট শিশুদের সাথে কাটানো সময়গুলো শিক্ষকের জন্য এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হিসেবেও ধরা দিতে পারে। একটি প্রিস্কুল ক্লাসরুম পরিচালনার জন্য উপযোগী ৭টি টিপস নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

সুস্পষ্ট নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠা করা

প্রাক বিদ্যালয়ে শিশুরা সামাজিক নিয়ম এবং সমাজের জন্য উপযুক্ত আচরণ সম্পর্কে শিখে। তাই এই সময়েই তাদের জন্য স্পষ্ট নিয়ম তৈরি করে দিলে তারা সহজেই বুঝতে পারে শ্রেণীকক্ষে তাদের কাছ থেকে কী আশা করা হচ্ছে এবং কোন আচরণগুলো যথার্থ নয়। এক্ষেত্রে সহজ ভাষা ও বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে পোস্টার তৈরি করে সেগুলো ক্লাসে টানিয়ে দিন। 

ইতিবাচক আচরণ উৎসাহিত করা

শিশুদের কী করা উচিত নয় সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে তাদের কী করা উচিত সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শিশুদের ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করুন। এটি তাদের আত্মসম্মান গড়ে তুলতে এবং একটি ইতিবাচক শ্রেণীকক্ষ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অনেক বেশি সাহায্য করে।  

Positive Reinforcement ব্যবহার করা

Positive Reinforcement প্রিস্কুল ক্লাসরুম পরিচালনার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। যখন শিশুরা ইতিবাচক আচরণ প্রদর্শন করে, তখন তাদের প্রশংসা করুন, স্টিকার বা ছোট পুরস্কার প্রদান করুন। এটি আচরণকে শক্তিশালী করে এবং ভবিষ্যতে শিশুটির ইতিবাচক আচরণ পুনরাবৃত্তি করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

Consistent থাকা

একটি প্রিস্কুল ক্লাসরুম পরিচালনা করার সময় consistency খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একই নিয়ম, রুটিন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করুন। এটি শিশুর বিভ্রান্তি কমাতে এবং শিশুদের জন্য স্থিতিশীলতার অনুভূতি তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। ফলে ক্লাসরুম ব্যবস্থাপনাও অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।

শিশুকে খেলার সুযোগ দেওয়া

খেলা হল প্রাক বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার একটি অপরিহার্য দিক। এটি শিশুদের অন্বেষণ করতে, শিখতে এবং নিজেদের প্রকাশ করতে সহায়তা করে৷ তাই প্রিস্কুলের শিশুদের খেলার মাধ্যমে শিখনে জোর দিতে হবে। এতে করে শিশু নিজেই নিজের জ্ঞান তৈরি করার যথেষ্ট সুযোগ পাবে, আনন্দের মাধ্যমে শেখায় শিখন অধিক কার্যকর হবে এবং শিখনের পাশাপাশি সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, সমন্বয় ইত্যাদি তৈরি হবে। 

শিশুকে প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দেওয়া

প্রি-স্কুলাররা এমন একটি পর্যায়ে থাকে যেখানে তারা নতুন দক্ষতা অর্জন করতে এবং আরও স্বাধীন হতে আগ্রহী হয়। শিশুদের নিজের পছন্দানুযায়ী কোনো কিছু বেছে নেওয়ার, সমস্যার সমাধান করার এবং নিজেরাই কাজগুলি সম্পূর্ণ করার সুযোগ প্রদান করে স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করুন।

মা-বাবার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা

একটি প্রিস্কুল ক্লাসরুম পরিচালনা করার সময় শিশুদের মা-বাবার সাথে যোগাযোগ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিতামাতাকে তাদের সন্তানের অগ্রগতি, আচরণ এবং যেকোনো উদ্বেগ সম্পর্কে অবহিত রাখুন। এতে স্কুল এবং বাড়ির বিভিন্ন কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য তোইরি হয় এবং শিশুর আচরণকে উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করা যায়।

একজন সচেতন শিক্ষক হিসেবে উপরের ৭টি টিপস ব্যবহারের করে আপনি নিজের এবং শিশুর ক্লাসরুম অভিজ্ঞতাকে ইতিবাচক এবং কার্যকর করে তুলতে পারেন। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন Teachers Time এর Classroom Management Techniques কোর্সটি থেকে। Teachers Time-এ রয়েছে ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে আরো বেশ কিছু কোর্স। সবার জন্য শুভকামনা রইলো। 

2 Shares