Emotional Awareness সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে ছোট্ট করে Self-Awareness কি তা জেনে নেই।
Self-Awareness বা আত্মসচেতনতা হচ্ছে নিজস্ব প্রেরণা,আবেগ ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা। আপনার কি পছন্দ বা অপছন্দ, আপনার দুর্বল ও শক্তির দিকগুলো এবং নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা। কোন পরিস্থিতিতে আপনার মধ্যে কোন ধরনের অনুভূতি কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও কোন পরিস্থিতিতে কেমন লাগবে তা বুঝতে পারা। নিজের চিন্তা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও প্রত্যাশাগুলো নিজের কাছে পরিষ্কার থাকাটাই আত্মসচেতনতা।
আবেগ সচেতনতা বা Emotional Awareness ব্যক্তি জীবনে কেন প্রয়োজন তা জানার আগে অল্প করে Emotional Awareness কি তা সম্পর্কে জেনে নেই,
(Self-Awareness) আত্মসচেতনার অনেক বড় একটা অংশ জুড়ে আছে আবেগ এবং অনুভূতি। আবেগ শব্দটি শুনতে, বুঝতে খুব সোজা মনে হলেও আবেগ ব্যাপারটা বর্ণনা করাটা কিন্তু সব সময় খুব সহজ হয় না। Emotional Awareness বা আবেগ সচেতনতা শুধুমাত্র নিজের অনুভুতিগুলোকেই বুঝতে পারা না, আপনার চারপাশের মানুষগুলোর আবেগগুলো চিনতে পারা এবং বোঝার ক্ষমতাই হচ্ছে Emotional Awareness- এর মূল অংশ। মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, মানুষের সফলতার জন্য তাঁর (IQ) আইকিউ ২০ শতাংশ এবং আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা ৮০ শতাংশ দায়ী। যাকে আমরা মানসিক বুদ্ধিমত্তাও বলে থাকি।
শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে মানসিক বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা অপরিসীম। শিশু জন্মের পর থেকে প্রথম আট বছর তার শারিরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন সময়। এই সময়ের মধ্যে শিশুর অনুভবের অভিজ্ঞতাগুলো তার শিক্ষার এবং অন্যান সার্বিক বিকাশের ওপর প্রভাব ফেলে। পরিস্থিতে কি আপনার শিশু কোন রকম রিএ্যাক্ট করছে এটি তার স্বভাব বুঝতে আপনাকে সাহায্য করবে। এতে করে আপনি তার মানসিক অবস্থা বুঝতে সক্ষম হবেন।
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে মানসিক এ সকল সচেতনতাগুলো কেনো প্রয়োজন তা জেনে নেই:
১. আত্ম সচেতনতা – নিজের আবেগ এবং সেই আবেগের প্রতিক্রিয়াকে নির্দিষ্ট ভাবে চিনে নেয়ার ক্ষমতা সৃষ্টি করে।
২. আত্ম নিয়ন্ত্রণ – নিজের আবেগ, মুড এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের প্রতিক্রিয়াকে (reaction) নিয়ন্ত্রণ ও ম্যানেজ করতে সহায়তা করে।
৩. প্রেষণা বা Motivation – পজিটিভ বা ইতিবাচক আবেগগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করানো ও লক্ষ্য অর্জনের সাহায্য করে।
৪. সহানুভূতি – অন্যদের আবেগ-অনুভূতিকে সঠিক ভাবে বুঝতে পারা ও সেগুলো কাজে লাগিয়ে তাদের সাথে আরও ভালোভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলা।
৫. সামাজিক ক্ষমতা – অন্যদের ও নিজের অনুভূতি বুঝে যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে সামাজিক পরিবেশে মেশা, অন্যদের নেতৃত্ব দেয়া, বিবাদ মেটানো এবং কোনও দলের অংশ হয়ে কাজ করার সাহস জোগায়।
৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণ – জীবনে নানা ক্ষেত্রে নানান বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তটি নিলে সেটা আপানার জন্য ভালো/ খারাপ সেটা বুঝতে সাহায্য করে।
এছাড়াও নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝতে Self-Awareness এর ভূমিকা অপরিসীম।