fbpx
Teachers Time - 8 7
Steps to create a children's science mindset

আপনি কি জানেন যে একটি শিশুর বয়স ৪ হতে না হতেই সে প্রায় ৪ লক্ষ প্রশ্ন করে ফেলে?

জন্মের পর থেকেই তার চারপাশের সবকিছু নিয়ে জানার অদম্য আগ্রহ থেকেই শিশুর মনে এতো প্রশ্ন। আর আমাদের চারপাশের অজানা সব জিনিস জানার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানা। আমাদের দেশে ক্লাস ৩ থেকে বিজ্ঞান শেখানো হয় শিশুদের। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে গবেষণা বলছে ৫০ ভাগ পর্যন্ত শিশুরা তৃতীয় শ্রেণীতে উঠার আগেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব? ওরা তো এখনও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনাই শুরু করলো না, তাহলে আবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে কিভাবে?

বিজ্ঞান শিক্ষা আসলে কি?

শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার শুরু বলতে আমরা ভাবি স্কুলে যেদিন বিজ্ঞান বই নিয়ে শিক্ষক ঢুকলেন সেদিন থেকেই বোধহয়। আসলে ব্যাপারটি তা নয়। বরং বিজ্ঞান শিক্ষার শুরুটা হয় তার আরও আগে থেকে – পরিবার থেকেই এবং স্কুলে যাওয়ার আগে থেকেই। আর বিজ্ঞান বইয়ে আমরা প্রায়শই দেখি সেখানে কেবল বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে কিছু তথ্য আর ধারণার কথাই বলা থাকে। আর সেই তথ্য আর ধারণাগুলো শিশুদের আমরা স্কুলে কেবল মুখস্ত করানোতেই মনোযোগ দেই বেশি। এইজন্য অনেক বিখ্যাত শিক্ষাবিদরা মনে করেন স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষার নামে যা হয় তা আসলে প্রকৃত বিজ্ঞান শিক্ষাই না।

শিক্ষাবিদদের মতে শিশুদের জন্য বিজ্ঞানের মধ্যে থাকবে নানাধরণের কৌতুহল জাগানো প্রশ্ন, সেগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা, তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষা চালানো, রেজাল্ট যা আসবে সেটা নিয়ে নিজের একটি মতামত দেয়া ইত্যাদি। বিজ্ঞান অনেকটা গোয়েন্দাদের রহস্যভেদের একটা পদ্ধতির মত। একজন গোয়েন্দা যেমন একটি রহস্যভেদ করতে যেয়ে আশেপাশের সব জিনিস খেয়াল করে দেখেন, ক্রাইম সিনের খুঁটিনাটি কোনও কিছুই যেন না এড়িয়ে যায় সেজন্য দরকার হলে নোট নেন, আলামত সংগ্রহ করেন, এরপর ফিরে গিয়ে সংগ্রহ করা সব তথ্য আলামত নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে শেষে একটি সিদ্ধান্ত নেন আসল অপরাধী কে – বিজ্ঞান ব্যাপারটিও অনেকটা তাই।

কেন দরকার বিজ্ঞান শিক্ষা?

একবার ভাবুন তো, স্কুলে বিজ্ঞান বইয়ে আমরা কত কত জিনিস জেনেছি পড়েছি, অথচ এখন সেগুলোর কোন কিছুই প্রায় আমাদের মনে নেই। বেশিরভাগ জিনিস আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে না। তাহলে কি দরকার ছিল এতো কষ্ট করে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা মুখস্ত করার?

এখন যদি ভাবেন, আরে ভাই আমার সন্তানরে বা আমার ছাত্রছাত্রীদের তো আমি বিজ্ঞানী বানাবো না। বিজ্ঞান একটা বিষয় দিয়েছে, ওইটা পড়তে হবে, পরীক্ষায় পাশ করতে হবে, তাই পড়াই।

উন্নত দেশগুলোর কোনো স্কুলেই সবাইকে বিজ্ঞানী বানানোর জন্য বিজ্ঞান পড়ায় না। অথচ বিজ্ঞান শিক্ষার উপর তারা অনেক বেশি জোর দেয়।

শিশুদের বিজ্ঞান শিক্ষার মূল লক্ষ্য আসলে শিশুদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানো, লজিক এবং যুক্তি দিয়ে চিন্তা করা, পরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এইসব বাড়ানো। আর স্টাডিতে দেখা গেছে যখন শিশুদের লজিকের ধাপ, হাইপোথিসিস দাঁড়া করানো এবং সেটা টেস্ট করার পদ্ধতি নিয়ে শেখানো হয় তখন শিশুদের মধ্যে সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা এবং আইকিউ বৃদ্ধি পায়। শিশুরা বেশি ভালমতো শিখে যখন তাদেরকে বলা হয় তার নিজের খুঁজে বের করা উত্তর বা সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিতে।

এখন আপনিই বলেন এই দক্ষতাগুলো কি আপনার শিশুর বা আপনার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে কোন কাজে লাগবে কিনা যখন তারা কর্মক্ষেত্রে ঢুকবে?

যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এবার বাকিটুকু পড়ে ফেলতে পারেন।

কিভাবে তৈরি করবো শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক মন?

এখন আসুন তাহলে জেনে নেই শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করতে বা বিজ্ঞানের প্রতি যেন আগ্রহ মরে না যায় সেজন্য আমাদের কোন বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখার দরকার।

শিশুকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে নিচের চারটি ধাপ সবসময় মাথায় রাখবেন। এই ধাপগুলো যদি অভিভাবক হিসাবে আপনি বাসায় বা শিক্ষকরা তাদের ক্লাসরুমে মেনে চলেন তাহলে আশা করতে পারেন শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক একটি মন তৈরি হয়ে যাবে।

প্রথম ধাপঃ কৌতূহল তৈরি

একটি শিশু কতটুকু কৌতূহলী তার উপর নির্ভর করে ঐ শিশুর বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা করার ক্ষমতা বরতমানে কতটুকু আছে বা ভবিষ্যতে কতটুকু হবে। আর মা-বাবা আর শিক্ষকদের দায়িত্বই হচ্ছে শিশুদের মধ্যে এই কৌতূহলী মনোভাবকে জাগিয়ে রাখা।
সায়েন্টিফিক থিঙ্কিং তৈরির জন্য ওপেন মাইন্ড রাখতে হয়। একটি কাজ যে বিভিন্নভাবে করা যায় সেটি শিশুকে বুঝানোর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে ওপেন মাইন্ডসেট তৈরি করা যায়। একই রেজাল্ট যে নানা উপায়ে পাওয়া যেতে পারে এই ধারণাটি শিশুর মধ্যে আনতে হবে।

এরপরেই কেবল শিশুদের কৌতুহল সৃষ্টিতে কাজ শুরু করা সম্ভব। কিন্তু শিশুরা আসলে জন্মগতভাবেই কৌতূহলী। তাদের সেই কৌতূহলকে ধরে রাখতে তাদের নানা প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়া, কিছু ক্ষেত্রে উল্টা তাকেই প্রশ্ন করে তার কাছ থেকেই জবাব নেয়ার চেষ্টা করা দরকার। তার উত্তর ভুল হলেও তাকে উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে তার কৌতূহলী মনোভাবকে আপনি ধরে রাখতে পারবেন।

দ্বিতীয় ধাপঃ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তৈরি

বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তার পরের ধাপটি হচ্ছে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। চিন্তা করে দেখুন তো ২০০০-৩০০০ বছর আগে যখন বিজ্ঞানের তেমন কোন প্রসার ঘটেনি, তখনকার চিন্তাবিদরা বা বিজ্ঞানীরা কিভাবে নতুন নতুন থিওরি নিয়ে আসলো যার উপর ভিত্তি করে আবিষ্কার হল নতুন নতুন যন্ত্রপাতি। কেবল আকাশে তারাদের গতিপথ দিনের পর দিন পর্যবেক্ষণ করেই মানুষ বের করলো পৃথিবী ও মহাকাশ নিয়ে অজানা অনেক তথ্য। আকাশের তারাকে পর্যবেক্ষণ করে পাড়ি দিল হাজার হাজার মাইল সমুদ্র।

একটি শিশুর কাছে তার আশেপাশের সবকিছুই নতুন এবং রোমাঞ্চকর। ৩০ বছর বয়সে এসে আপনি হয়তো বৃষ্টি দেখে অবাক হয়ে ভাবেন না কিভাবে আকাশ থেকে পানি পড়ছে, দিনের বেলা কেন তারা দেখা যায় না, বা আকাশের রঙ নীল না হয়ে হলুদ কেন হল না। হয় আপনি এগুলোর উত্তর জানেন অথবা আপনার ভিতরের কৌতূহলী মনটা দমে গেছে। শিশুদেরটা এখনও দমে যায়নি। এবং মা-বাবা এবং শিক্ষক হিসাবে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে সেটিকে জাগিয়ে রাখা।

এখন এই কৌতূহলী মনের সাথে যদি পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনার শিশুকে সাহায্য করতে পারেন তাহলে আপনার অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। তো, কিভাবে বাড়ানো যায় শিশুদের পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা? একটু ভেবে দেখুন তো।

তৃতীয় ধাপঃ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো এবং সংগঠিত করা

শিশুর মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক মন তৈরি করার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে এলোমেলো করে রাখা জিনিস তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো এবং সংগঠিত করতে শেখা। পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা তৈরি হলে শিশু বিভিন্ন জিনিসের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তাদের ছোট ছোট দলে ভাগ করার ক্ষমতা অর্জন করবে।

ধরুন এই সমস্যাটির কথা।
একটি পাখি, ফড়িং, জেব্রা, ঘোড়া, সাইকেল, উড়োজাহাজ এদেরকে যদি বলা হয় তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভাগ করতে আপনি কিভাবে করবেন?

প্রথমেই হয়তো ভাববেন, যাদের প্রাণ আছে তারা একটি দল আর যাদের প্রাণ নেই তারা একটি দল। খুব ভালো। এরপর আর কি উপায়ে তাদের ভাগ করা যায়?

দেখুন খেয়াল করে পাখি, ফড়িং আর উড়োজাহাজ সবাই কিন্তু আকাশে উড়তে পারে। বাকিরা কেউ কিন্তু পারে না। তাহলে এর ভিত্তিতে কি ভাগ করা যায় না?

এভাবেই শিশুরা তাদের পর্যবেক্ষণ এবং চিন্তাশক্তি দিয়ে এলোমেলো বিষয়কে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভাগ করতে শিখবে।

চতুর্থ ধাপঃ পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন

আগের ধাপগুলো শিশু ঠিকমতো করতে পারলে সে এখন ছোটোখাটো অনুমান বা হাইপোথিসিস দাঁড়া করাতে পারবে। যেমন, ফ্যানের সুইচ চাপলে যেহেতু পাখা ঘুরে তার মানে ফ্যানের ভিতরে এমন কিছু একটা আছে যেটি পাখা ঘুরাতে সাহায্য করে। কি হতে পারে সেটি? অথবা দিনের বেলা তারা দেখা যায় না এর কারণ হল তারাগুলো তাদের বাতি নিভিয়ে রাখে।

এই অনুমান বা হাইপোথিসিস দাঁড়া করানোর সময় শিশুকে তার নিজের ইচ্ছামতো চিন্তা করতে দিন। এখানে কোন ভুল বা সঠিক ব্যাপার নেই। আগেই তার ধারণা ভুল না ঠিক সেটি বলবেন না।

এই ধাপে তার মতামতটি সঠিক না ভুল সেটি যাচাই করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিশু নিজেই বলবে তার অনুমান সঠিক ছিল নাকি ভুল। ভুল হলে সঠিক উত্তরটি তবে কি? এই পরীক্ষার মাধ্যমে সে কি বুঝতে পারলো? এরকম প্রশ্নগুলো করে শিশুর কাছ থেকে উত্তরগুলো জানার চেষ্টা করুন।

আমরা আমাদের বিজ্ঞান বইয়ে বা বিজ্ঞান শিক্ষায় কেবল নানারকম পরীক্ষা দেখাই আর সেই পরীক্ষার ফলাফল কি হল সেটি জানাই। কিন্তু আসলে একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার শুরুটা হয় আরও অনেক আগে থেকে। পর্যবেক্ষণ, অনুমান বা হাইপোথিসিস দাঁড়া করানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধাপ। এরপরেই কেবল পরীক্ষা করা যেতে পারে। আর এক্ষেত্রে খালি পরীক্ষা এবং তার ফলাফল লিখে রাখাই যথেষ্ট না। যতক্ষণ না পর্যন্ত শিশু তার নিজের পরীক্ষার মূল্যায়ন না করতে পারছে ততক্ষণ আসলে বিজ্ঞান শিক্ষার সবগুলো ধাপ শেষ করা হচ্ছে না।

শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরির জন্য তার নিজের করা পরীক্ষার মূল্যায়ন করতে পারার ক্ষমতা তৈরি হতে হবে। তবেই সে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমস্যার সমাধান এবং তার চারদিকের পরিবেশের বিভিন্ন বিষয় যেমন বৃষ্টি পড়া, সূর্য উঠা-ডোবা, গাছপালার বেড়ে উঠা ইত্যাদি বিষয়গুলোর জবাব নিজেই বের করার চেষ্টা করবে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে শিশুর মধ্যে একটি বিজ্ঞানমনস্ক এবং যৌক্তিক মন তৈরি হবে।

কম বিষয় নাকি বেশি বিষয় পড়ানো ভালো?

আমাদের দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান বইয়ে অনেকগুলো চ্যাপ্টার আর সেগুলোতে বিজ্ঞান এবং প্রকৃতির নানা ধারণা নিয়ে আসা হয়েছে। একটা ভুল ধারণা এক্ষেত্রে হয়তো কাজ করেছে যে সব বিষয়ে অল্প অল্প ধারণা দিয়ে দিলাম, এটা বুঝি ভালই হল।

আসলে শিশুদের জন্য বরং কম জিনিস কিন্তু সেটিকে অনেক গভীরভাবে শেখানোই ভালো। একটি বিষয় অনেক সময় নিয়ে বিষয়টির নানাদিক তুলে ধরে সেটিকে নিয়ে হাতে-কলমে কাজ করে শেখালে শিশুদের জন্য বেশি উপকারি। আমরা স্কুলে দেখি একজন শিক্ষক কয়েক ক্লাসেই একটি চ্যাপ্টার শেষ করতে বাধ্য হন, কারণ তার তো আবার সিলেবাস শেষ করতে হবে। অথচ এতে বরং হিতে বিপরীত হচ্ছে।

মার্ক শোয়ার্টস এবং তার সহকর্মীরা ২০০৯ সালে একটি গবেষণা করেছেন আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে এমন ছাত্রছাত্রীদের উপর। এই গবেষণায় দেখা গেছে যারা এমন কলেজ থেকে এসেছে যেখানে তাদের বিজ্ঞান কোর্সে একটি বিষয়ের উপর বেশি গভীরভাবে পড়তে হয়েছে তারা ইউনিভার্সিটিতে বেশি ভালো রেজাল্ট করছে। অপরদিকে যারা তাদের বিজ্ঞান কোর্সে একের অধিক বিষয়ের উপর পড়তে হয়েছে তারা খারাপ রেজাল্ট করছে। যেহেতু দ্বিতীয় গ্রুপ কোনো বিষয়ের উপর গভীরভাবে জানার সুযোগ পায়নি তাই তাদের ভিতরে বিজ্ঞানমনস্ক মনোভাব তৈরি হয়নি। ইন্টারেস্টিং, তাই না?

এইজন্যই মনে হয় ‘Jack of all trades’ হওয়া ভালো না, তার চেয়ে ‘Master of One’ হওয়া ভালো।

শেষ কথা

শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করার প্রধান দায়িত্ব প্রথমে অভিভাবকদের। তাদের নানা প্রশ্নের জবাব দেয়া, কোন প্রশ্নের উত্তর না জানলে দুজন মিলে চেষ্টা করে উত্তর খোঁজা, জানতে চাওয়া মাত্র সরাসরি সঠিক উত্তর না দিয়ে শিশুকেই খুঁজে বের করতে সাহায্য করা হচ্ছে অভিভাবকদের দায়িত্ব।

আর শিক্ষকরা সবসময় ক্লাসে খেয়াল রাখবেন আপনি যখন বিজ্ঞান বইয়ের কোন একটি বিষয় পড়াচ্ছেন তখন আপনি উপরে উল্লেখ করা ৪ টি ধাপ অনুযায়ী পড়াচ্ছেন কিনা। সব ক্ষেত্রে হয়তো প্রয়োজন নেই বা পারবেনও না, কিন্তু যেসব চ্যাপ্টার বা বিষয়ের জন্য সবগুলো ধাপ অনুসরণ করতে পারবেন সেগুলোতে অবশ্যই চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং তারা আপনার বিষয়ে ভালো রেজাল্টও করবে। আর এখন যেহেতু সৃজনশীল পরীক্ষার যুগ, এই সুযোগে আপনিও আপনার ক্লাসকে একটি সৃজনশীল বিজ্ঞানাগারে পরিণত করে ফেলুন।

0 Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *